সর্বশেষ
সাবেক ই’স’ক’ন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দিয়েছে আদালত
পেকুয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
অবৈধ টাকা প্রমাণ করতে না পারলে রাজনীতি ছাড়বেনঃ- রাশেদ খানকে সারজিস
ভারত কি বন্ধু ? । Bangladesh India
বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহ্বান ড. ইউনূসের
বাজারে এত বিশৃঙ্খলা যে ট্যাক্স কমিয়েও দাম কমছে না: অর্থ উপদেষ্টা
টেকনাফে অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
হাসিনা সঙ্গী-সাথী ফেলে রেখে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন: রিজভী
নির্বাচনের ডেটলাইন দিতে এত দ্বিধা কেন, প্রশ্ন রিজভীর
এলসির দায় পরিশোধে বিলম্ব করলে ব্যবস্থা
ট্রাম্প প্রশাসনের যে বিভাগে নেতৃত্ব দেবেন ইলন মাস্ক
ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি: তমা মির্জা
টেস্ট ক্রিকেটের পাট চুকানোর ঘোষণা ইমরুলের

পেকুয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

পেকুয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবী মানববন্ধন করেছে উপকূলীয় সাহিত্য ফোরাম। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনা এলাকায় অরক্ষিত বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপকূলীয় সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহেদুল আলম রিফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আবু জাফর এমএ, সদস্য সচিব আবুল বশর বাবু, রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদ উল্লাহ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সিপিপির ইউনিয়ন টিম লিডার আহমদ কবির আজাদ, রাজাখালী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি এস.এম. আমিন উল্লাহ, রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, রাজাখালী উম্মুক্ত পাঠাগারের প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পাঠাগারের সদস্য সাইদুল ইসলাম রোমানসহ অনেকে। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে রাজাখালীর বিস্তীর্ণ বেড়িবাঁধের বিধ্বস্ত অংশ দ্রুত সংষ্কার ও টেকসই বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবী তুলে ধরেন। তথ্যসূত্রে জানা যায়,

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের দিবাগত মধ্যরাতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী ও রবগুনাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ১২ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। এতে উপকূলীয় ১৯ জেলার ১০২ থানা ও ৯টি পৌরসভায় সরকারি হিসাব মতে নিহত হয়েছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন লোক। নিখোঁজ ছিল ১২ হাজার ১২৫ জন। আহত হয়েছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪ জন। গৃহহারা হয়েছিল প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা দ্বিগুণ। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে কয়েক হাজার পরিবার। সেই কালরাত্রির নানা ঘটনা এখনো উপকূলীয় এলাকার লোকের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু এতো প্রাণ-সম্পদহানির ৩৪ বছর পরও মানুষের সুরক্ষায় গড়ে উঠেনি টেকসই বেড়িবাঁধ।  উপকূলে এখন প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটা। স্বজন হারানোর চোখেও কেবল বিভীষিকা।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ